ই-পেপার

বরিশালে পুলিশ-ডাকাত গোলাগুলি, অস্ত্রসহ গ্রেফতার-৪

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: July 4, 2022

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকায় পুলিশের সাথে ডাকাতদলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (০৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১ টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় আরও ৪-৫ জন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।

আটককৃতরা হলো বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বলাইকাঠি এলাকার সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারো সেলিম (৩৮), মো. রফিকুল ইসলাম রানা (৩৫), পশ্চিম চরামদ্দি এলাকার মো. মিজান ওরফে নিজাম হাওলাদার (৪২) এবং বরগুনা জেলা সদরের বড়ইতলা এলাকার মো. বারেক সিকদার (৩৭)।

এসময় ডাকাত দলের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ১টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি ছোরা, ১টি বগি দা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১টি সেলাই রেঞ্জ,১টি টর্স লাইট এবং ৫ টুকরা রশি।

আজ সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুর ১টায় বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন আজাদ।

তিনি জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ও ইল্লা নামক এলাকার মাঝে একটি পানের বরজে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল একদল ডাকাত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের টিম যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি ছুড়ে পালানের চেষ্টা চালায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরও জানান, গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ ১০ রাউন্ড রাবার গুলি ছোড়ে। এসময় কয়েকজন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষমও হয়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া গ্রেফতারের সময় পুলিশ সদস্যদের কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সকলে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের নামে বরিশাল, বরগুনা ও পিরোজপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

তাছাড়া আটককৃত কাটারো সেলিমের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানা, কাউনিয়া থানা, এয়ারপোর্ট থানা এবং জেলার উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। সেলিমের পূর্ব পুরুষ অর্থাৎ দাদা এবং বাবাও ডাকাতি করতো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত মন্ডল জানান, ডাকাত চক্রটি ঢাকায় থাকে। তারা বরিশালে আসার পথে কোন না কোন স্থানে ডাকাতি করে। এরা ডাকাতির ক্ষেত্রে কিছু কোড ব্যবহার করে থাকে। ডাকাতিকে তারা ‘অনুষ্ঠান’ বলে চিহ্নত করে। পালিয়ে যাওয়া ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন