ই-পেপার

চাঁদাবাজমুক্ত স্মার্ট সিটি গড়তে সাদিক আব্দুল্লাহতেই আস্থা নগরবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: April 6, 2023

আলমগীর হোসেন সুমন ॥

বরিশাল সিটি নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। এরই মধ্যে নগরীতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ওয়ার্ড ও মহল্লায় চলছে নগরপিতা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। তবে টেকসই উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত নগরকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করতে মেয়র সেরনিয়াত সাদিক আব্দুল্লাহতেই আস্থা রাখছেন নগরবাসী। আগামী দিনের নগর পিতা হিসেবে তাকেই দেখতে চান বরিশাল সিটির ভোটাররা। তাকে নিয়েই স্মার্ট নগরী গড়ার স্বপ্ন বুনছেন বাসিন্দারা।
জানা গেছে, ২০০২ সালে বরিশাল পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়ে তৎকালীন চারদলীয় জোট সমর্থিত অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি তার মেয়াদকালে নগরীতে দৃশ্যত কোনো উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হন। ২০০৮ সালে মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ মেয়র নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সহযোগিতা ও দিকনির্দেশণায় বরিশাল সিটিকে আধুনিক ডিজিটাল জনবান্ধন নগরীতে রূপান্তরে সক্ষম হন। যা আজও নগরবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন।
২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আহসান হাবীব কামাল নগরপিতা নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের উল্টো পথে ধাবমান হতে থাকেন। নগরবাসীর দাবি, সারা দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে, ঠিক তখনই তৎকালীন মেয়র বরিশাল নগরীকে একটি ভঙ্গুর ও জনদুর্ভোগের নগরীতে পরিণত করেন। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে ঋণের ভারে জর্জরিত করে একজন ব্যর্থ নগরপিতা হিসেবে পরিচিত হন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে এই অঞ্চলে দৃশ্যত উন্নয়ন এবং শান্তি ও সহাবস্থানের অগ্রদূত (মন্ত্রী) আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির সুযোগ্য উত্তরসূরী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারুণ্যদৃপ্ত সেরনিয়াত সাদিক আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে আগামীর উন্নত বরিশাল গড়ার প্রতিশ্রুতিতে উন্নয়ন বঞ্চিত নগরবাসীর আকুণ্ঠ সমর্থনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন। নগরপিতার আসনে বসেই সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ দেনাগ্রস্থ বরিশাল সিটিকে টেনে তুলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বরিশাল নগরের যেটুকু উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন তা সুদীর্ঘ পরিকল্পিত এবং নগরায়নে টেকসই সেটা দৃশ্যমান বলে মনে করেন নগরবাসী।
বরিশাল সিটির চরবাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জন মিস্ত্রী জানান, করোনাকারী সময়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ একজন সম্মুখ করোনা যোদ্ধা হিসেবে সার্বক্ষণিত খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে নগরবাসীর পাশে ছিলেন। নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করেছেন। সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ২০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেয়র সাদিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণের জন্য স্মার্ট বরিশাল সিটি রূপান্তরে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচনেও নগরবাসী তাকেই নগরপিতা হিসেবে পেতে চায়।
নগরীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বেলায়েত বাবলু বলেন, তারুণ্যদৃপ্ত মেয়র সাদিক বিভিন্ন উৎসবে পার্বনে বরিশাল নগরবাসীকে আনন্দ-উৎসবে মাতিয়ে রাখেন। একজন সাংস্কৃতি বান্ধব নেতা হিসেবে সবার মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী মেহেদী শুভ বলেন, বরিশাল নগরীর কয়েকটি খাল ও জলাশয় উদ্ধার এবং গুরুত্বপূর্ণ জলাশয় রক্ষা করে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সিটিকে একটি পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরায়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার কাজে অংশ নিয়েছেন। একজন পরিবেশবান্ধন নেতা হিসেবে বরিশাল সিটিকে স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। আগামী দিনে নগরপিতা নির্বাচিত হয়ে তিনি বরিশালকে আরও স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে পারবেন।
শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসেন জানান, পূর্বপুরুষদের যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম কর্মীদের সকল প্রয়োজনে তিনি পাশে দাড়িয়েছেন। মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সাংবাদিক সংঠনের অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ইতোমধ্যে নিজেকে গণমাধ্যমবান্ধব নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। একজন ক্রীড়ামোদী হিসেবেও তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানে শুধু পৃষ্ঠপোষকই নয়, উৎসাহ যোগাতে স্বশরীরে খেলোয়ার হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের যোগ্য উত্তরসুরী তারুণ্যদৃপ্ত সেরনিয়াত সাদিক আব্দুল্লাহ আগামীর উন্নত বরিশাল গড়ার প্রত্যয়ে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিয়ে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, সাংস্কৃতি, ক্রীড়া উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে নগরবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করেছেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সুসংগঠিত করে একটি মডেল ইউনিট গঠন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মেয়র সাদিক পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই উন্নয়ন ও রাজনৈতিক সহাবস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন। করোনা মহামারি এবং বৈশ্বিক সংকটের বাধা পেরিয়ে আধুনিক বরিশাল সিটি গড়ার অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ণ করতে আবারো সাদিক আব্দুল্লাহকে মেয়র হিসেবে পেতে চায় নগরবাসী।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে.এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরিশাল সিটির উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী বন্ধ করে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। আওয়ামী লীগের ভিশনের অংশ স্মার্ট বরিশাল গঠনে সবাই সাদিক আব্দুল্লাহতেই আস্থা রাখছে। তিনি আগামীতে নগরপিতা নির্বাচিত হলে বরিশাল নগরী উন্নয়নের পথে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, মেয়র সাদিকের আরেকটি বড়গুণ হলো, আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কর্মীদের বাসায় গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেওয়া। একজন দক্ষ নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগের কর্মীদের শারীরিক খোঁজখবর এবং আর্থিক সহযোগিতা করে অন্যন্য মেয়র হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন।
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ওবায়দুল্লাহ সাজু বলেন, সকল ধর্ম-বর্ণ শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়েই আগামীর স্মার্ট বরিশাল গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।

 

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন