নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: May 28, 2022
যাত্রীবাহী বাসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে আধাঘন্টাব্যাপি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে বাসে ওঠাকে কেন্দ্র পরিবহন শ্রমিকরা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। মারধরের শিকার ফয়সাল শাহরিয়ার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র।
প্রত্যাক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, দপদপিয়া জিরো পয়েন্টে যাওয়ার জন্য ছাত্র ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন বাসের সুপারভাইজার এবং হেলপার।
এই নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে বাসের স্টাফরা ফয়সালকে মারধর করে। এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তাদের আধাঘন্টাব্যাপি অবরোধের কারণে যাত্রীবাহী বাসসহ সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুইপাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। পরে পুলিশের দেয়া বিচারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
ফয়সাল শাহরিয়ার বলেন, আমি জিরো পয়েন্টে যাওয়ার উদ্দেশে দাঁড়িয়ে থাকি। আমি কোথায় যাবো জিজ্ঞাসা করলে বলি ‘যেখানে যাবো সেখানে নামিয়ে দিলেই হবে’। সাথে সাথে কামালসহ বাসের স্টাফরা আমার ওপর চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমার জামার কলার ধরে কিলঘুষি মারে।
আবদুল ফয়েজ নামের এক ছাত্র বলেন, আমাদের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার। যে কারণে আমরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছি। বিচার না পেলে পুনরায় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
বরিশাল-পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ বাসের স্টাফ না। তারা বহিরাগত। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের সাথে আলোচনা করা হবে। অভিযুক্তরা যাতে শাস্তি পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল বন্দর থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভুুল বোঝাবুঝি নিয়ে ঝামেলাটা হয়েছিলো। বাস চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিলো। এখন সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।