ই-পেপার

প্রমাণ না থাকায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: May 22, 2022

ঝালকঠির নলছিটিতে মারামারির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মো. ফয়সাল বিন জাবেরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। অভিযোগের স্বাক্ষ প্রমাণ না থাকায় গত ১৮ মে বিচারক মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। ঝালকাঠি নির্বাহী হাকিম আদালতের বেঞ্চ সহকারী খান মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত অনুলিপিতে এই তথ্য জানা গেছে।

এদিকে মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল বিন জাবের অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মানহানি করতেই মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। স্থানীয় একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলের ইন্দোনে হুমায়ুন কবির নামের ওই ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

জাবের বলেন, ‘আমার চাচার ভাড়াটিয়া হুমায়ুন কবির পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির বিশ্বাসের চালের ব্যবসা দেখাশুনা করতেন। এছাড়া তার স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলেও কাউন্সিলরের বাড়িতে কাজ করতেন। সেই সুযোগে হুমায়ুনকে ব্যবহার করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগ নেতা জাবের বলেন, ‘হুমায়ুন কবির এবং তার স্ত্রীকে দিয়ে আমার ওপর প্রথমে হামলা করা হয়। এর কয়েক মাস পরেই হুমায়ুন আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। একই সাথে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা করেন। এর মধ্যে মারামারির অভিযোগে করা একটি মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তাছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার মামলাটিও পুলিশের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী হুমায়ুন ছাত্রলীগ নেতা জাবেরের চাচার বাড়িতে ভাড়া থাকনে। ভাড়ার টাকা ঠিকমত পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন কবিরের সাথে জাবেরের চাচার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে জাবের ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হঠাৎ করে পেছন থেকে জাবেরের ওপর হামলা করে হুমায়ুন ও তার ছেলে। এতে জাবের আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় জাবেরের বাবা ও চাচী বাদী হয়ে হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী, ছেলে এবং কাউন্সিলর আমির বিশ্বাসের ছেলে বাপ্পীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ ঘটনার কয়েক মাস পরেই নিজের মেয়েকে দিয়ে জাবেরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় তার চাচাতো ভাই কামরুজ্জামান মিথুনকেও আসামি করা হয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষী প্রমাণ পাননি। তাই তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ছাত্রলীগ নেতা জাবের বলেন, ‘আমির হোসেন বিশ্বাস ও তার অনুসারীরা আমার বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা করছে। তারা আমাকে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে মানহানি করেছে। আমি তাদের এই ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন