ই-পেপার

এক পণ্যে তিনবার খাজনা দিচ্ছে ব্যাবসায়িরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: June 14, 2022

বরগুনার পাথরঘাটা একই পণ্যে তিন বার খাজনা দিচ্ছে ব্যাবসায়িরা। উপজেলায় দেড়লাখ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সামগ্রীর চাহিদা মিটছে না স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যে। এ কারণে আড়ৎদাড়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে স্থানীয় খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু একই পন্য ক্রয় থেকে বিক্রি পর্যন্ত তিন বার খাজনা পরিশোধ করতে হয় এসকল কঁচামাল ব্যাবসায়িদের।

এ কারণে চড়া দামে কাঁচামাল বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান পাথরঘাটার ব্যাবসায়িরা। পাথরঘাটা বাজার ঘুরে দেখা যায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে তুলনামূলকভাবে পাথরঘাটায় প্রতিকেজি কাঁচামালে একটাকা থেকে দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে ব্যাবসায়িরা পরিবহন খরচ ও অতিরিক্ত খাজনা দেয়াকে দায়ি করেছেন।

পাথরঘাটা উপজেলার কাঁচামাল সরবরাহ কারি আড়ৎদাড় আউয়াল হোসেন জানান, স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে রাজশাহী, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচামাল কিনতে হলে সেখানকার স্থানীয় বাজারে খাজনা পরিশোধ করতে হয়। সেখান থেকে পরিবহনের মাধ্যমে পাথরঘাটায় আসলে ছোট বড় ট্রাক প্রতি ৬শত থেকে ১৫শত টাকা খাজনা দিতে হয়।

এর পর যখন খুচরা বিক্রেতারা ভ্যান গাড়িতে, চটে অথবা টলে বসে বিক্রি করে তাদের থেকেও ৩০ থেকে ৫০ টাকা খাজনা নিচ্ছে পাথরঘাটা পৌরসভার ইজারাদাররা। একই অভিযোগ করেন আড়ৎদাড় সেফাজউদ্দিন ও আল-আমিন।

সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খাজনা পরিশোধের রশিদ চাইলে আড়ৎদাড়রা জানান তারা খাতায় স্বাক্ষর করে খাজনা আদায় করে কোন রশিদ দেন না। খাতায় দেখা যায় খলিলুর রহমান নামে এক ইজারাদার আদায়কারী সাক্ষর।

খুচরা বিক্রেতা আল-আমিন, মিলন, জহির রবিউল, সগির, মহসিন জানান, আমরা যারা খুচরা বাজারে চটে ও গাড়িতে কাঁচামাল বিক্রি করি আমাদের থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টাকা খাজনা নিচ্ছে ইজারাদার। তারা অভিযোগ করেন আমাদের মহাজনেরা ঘর থেকেও খাজনা আদায় করে আর আমরাও রাস্তায় বসে বিক্রি করেও খাজনা দেই।

এর প্রভাব গিয়ে পন্যের উপর পরে। বরিশালের কাঁচামাল বেপারি রিপন মিয়া জানান, আমরা সারাদেশে কাঁচামাল সরবরাহ করি। কিন্তু পাথরঘাটায় পাইকারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা নেয়। তাই এ বাজারে আমরা পন্য পাইকারি দেইনা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন