ই-পেপার

অব্যবহৃত প্লাস্টিক জমা দিয়ে উপহার পেলো শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: August 12, 2022

পরিবেশ দূষণ রোধে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে ‘ফেলে দেয়া’ প্লাস্টিক সামগ্রী জমা দিয়ে উপহার পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল শুরুর আগেই নিজেদের বাসা ও স্কুলের আশপাশে থেকে অব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশন এইডের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব প্লাস্টিকের বিনিময়ে দেয়া হয় রং-বেরংয়ের মাটির ব্যাংক ও মাটির তৈরী শোপিস। দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর জমা দেয়া প্লাস্টিকে ওজন হয় ৩৫ কেজি। যার বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে স্কুলে রোপন করা হয় ৩টি গাছ।

সরেজমিনে আয়োজনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্লাস্টিক সংগ্রহের জন্য নির্মিত অস্থায়ী বুথে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। সবার হাতে ব্যাগ ভর্তি প্লাস্টিক সামগ্রী। বেশীরভাগই প্লাস্টিকের বোতল। এগুলো জমা দিয়ে যার যার পছন্দমতো বিভিন্ন ফলের অবয়বে তৈরী মাটির ব্যাংক ও শোপিস নিচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে বয়সে ছোটদের মধ্যে উদ্দীপনা যেন একটু বাড়তিই ছিল।

বিদ্যালয়টির অষ্টম শ্রেডুর শিক্ষার্থী আলিফ আব্দুল্লাহ সাকিব বলেন, ‘লাল সবুজ সোসাইটির ভাইয়ারা আমাদের স্কুলে পরিবেশ দূষণ রোধে বিভিন্ন কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই ওয়ান টাইম প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। আজ প্লাস্টিকের বোতল জমা দিয়ে গিফট পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরাও প্লাস্টিক দূষণ রোধে এখন থেকে কাজ করবো।

আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে লাল সবুজ সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক মো. আল মামুন রাকিব বলেন, একটি প্লাস্টিকের বোতল ৪০০ বছরেও পঁচেনা। যা পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুঁমকি। শৈশব থেকে তাদের মধ্যে এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছি। আমরা চলে যাবার পরও যেন শিক্ষার্থীরা পরিবেশ নিয়ে কাজ করে সেজন্য একটি ক্লাইমে ক্লাবও করে দিয়েছি। সম্পৃক্ত করেছি শিক্ষকদেরও।

প্রসঙ্গত, ইয়ূথ মোবিলাইজেশন ফর ক্লাইমেট একশন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের দশটি জেলার দশটি স্কুলে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে লাল সবুজ সোসাইটি নামক একটি সামাজিক সংগঠন। এতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে একশন এইড বাংলাদেশ।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন