ই-পেপার

সেই রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলেন প্রতিমন্ত্রী শামীম

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: January 8, 2022

বন্ধ করে দেয়া বরিশাল সদর উপজেলার সেই সড়কটি পুনর্বাসন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম- এমপি। শনিবার (৮ জানুয়ারি) তিনি তার অনুসারী দলীয় নেতাকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।

এর আগে গত বছরের শেষ দিকে আমতলী বাজার আরএইচডি-লামছরি হাট সড়ক পুনর্বাসন কাজের উদ্বোধন করেছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন না করানোয় সেই সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় একই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হামাবুবুর রহমান মধুসহ প্রতিমন্ত্রী পন্থি নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, ‘বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজার আরএইচডি-লামছরি হাট সড়ক পুনর্বাসন ১ কোটি ৯১ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে এলজিইডি। গত ২১ ডিসেম্বর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু ওই কাজের উদ্বোধন করেন।

এরপর পরই নির্মাণ কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং শ্রমিকরা। কিন্তু পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে দিয়ে উদ্বোধন না করানোয় তিন দিনের মাথায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশেই নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়।

কাজ বন্ধ করে দেয়ার ১৫ দিনের মাথায় শনিবার সকালে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্বোধন করা সড়ক নির্মাণ কাজের দ্বিতীয় দফায় উদ্বোধন করেন। এর পর থেকেই প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ওই সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে।

এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম- এমপি বলেন, আমি এখানে ২০২০ সালের ৭ আগষ্ট এসেছিলাম। তখন আপনারা রাস্তার কথা বলেছিলেন, ৭২ না ৭৬ টা ভাঙন, লোকজন হেটে যেতে পারে না। আমি তাৎক্ষনিক নির্দেশনা দিয়েছি।

তারপর প্রকৌশলীরাও কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করেছেন। করোনার মধ্যে কেউ বের হতে পারেননি, তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা করোনার মধ্যেও রাত-দিন কাজ করে গেছেন।

আমরা সবাই মানুষ, সবাই পারফেক্ট না। দোষ-গুন আমাদের রয়েছে। বরিশালের চরবাড়িয়াতে একটা কাজ চলমান রয়েছে, আমি আরো প্রকল্প নিয়েছি সব মিলিয়ে যা ১২ থেকে ১৫ শত কোটি টাকা হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন