ই-পেপার

মা-বাবার কারণে দেহব্যবসা বাধ্য মেয়ে: পাঁচমাসে ১২৫ বার যৌন নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 14, 2021

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেছেন মা-বাবা। শুধু তাই নয় গত পাঁচ মাসে ১২৫ বার যৌন নির্যানে চালানো হয়েছে ওই কিশোরীর ওপর। তাতে সরাসরি জড়িত ছিলেন তার মা-বাবা।

অবশেষে পুলিশের সহায়তা চাইলে অভিযুক্ত মা-বাবা ও সরাসরি যৌন হয়রানি চালানো মধু ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড নিউ সাকুলারোড এলাকার গাজী বাড়ি মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কিশোরীর দেওয়া অভিযোগটি মামিেলহিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত তার মা, বাবা ও ব্যবসায়ীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর নির্যাতিত কিশোরীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে কিশোরী উল্লেখ করেছে, মা নাসরিন বেগম ও বাবা সামসুল সিকদার দুজনেই বাসায় বসে মাদক ও নারী ব্যবসা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে ওই তাকে (কিশারীকে) দেহব্যবসা করার কথা বলছিলেন মা-বাবা। কিন্তু কিশোরী তাতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিনিয়তই মারধর করা হতো।

জুন মাসে মা নাসরিন বেগম নগরীর মুনসুর কোয়ার্টার এলাকার মিম মধুঘরের মালিক আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বাসায় নিয়ে আনোয়ারের সঙ্গে একটি কক্ষে আটকে রাখে ওই কিশোরীকে। পরে আনোয়ার তার শ্লীলতাহানি করে। ওদিকে জুন থেকে অক্টোবর এই পাঁচমাসে তার মা-বাবার সরাসরি সহায়তায় ১২৫ বার যৌন নির্যাতন করেছেন ব্যবসায়ী আনোয়ার।

শনিবার বিকেলে ঘর থেকে পালিয়ে ওই কিশোরী বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানকে বিস্তারিত জানালে তিনি তৎক্ষণিক আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কোতয়ালী মডেল থানাকে নির্দেশ দেন।

পরে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে কিশোরীর মা নাসরিন বেগম, বাবা সামসুল সিকদার ও মধু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন