ই-পেপার

বিদেশে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে চাঁদাবাজি, টাকা যায় কারাগারেও

বিএসএল নিউজ ডেস্ক | আপডেট: January 4, 2022

বিদেশে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙিয়ে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। চাঁদার টাকার একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। আর তাদের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে দেশের কতিপয় সন্ত্রাসী। অস্ত্র ও গুলি সরবরাহ করা হচ্ছে বিদেশে বসেই। এই নেটওয়ার্কে আছে দেশের কারাগারে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও। বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে পুলিশের প্রতিনিধি না থাকার কারণে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।

রাজধানীর বাড্ডা, সাতারকুল বেরাইদসহ আশপাশের এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ওইসব এলাকার ব্যবসায়ীরা। চাঁদা না পেলেই গুলি করে তারা। পরিবারের সদস্যদের করা হয় জিম্মি। সন্ত্রাসী এই গ্রুপটি গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে এখন কারাগারে। তবে তাদের আরও সদস্য রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিদেশে পিস্তল, গুলি ও মাদকসহ দলটি গ্রেপ্তারের পর বাড্ডা, ভাটারা এলাকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার দাবি গোয়েন্দাদের। দুবাই পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও তার ভাই শামীমকে নিয়মিত টাকা পাঠান তারা। টাকা যায় কাশিমপুর কারাগারে দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন আসামির কাছেও। আর এসব টাকার উৎস চাঁদাবাজি।

বিদেশে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের মদদে দেশে অশান্তি তৈরি করা এই চক্রটির কেউ কেউ আবার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ল্যাংড়া ইমন, নীরু ও জালাল চাচা পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী। এদের মধ্যে ইমন ও জালাল চাচা বিএনপি এবং নীরু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান বিভাগ) উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, বিদেশে যারা প্রাণের ভয়ে লুকিয়ে থাকে তারা এদেশের আগাছা ব্যবহার করে টাকা বানিয়ে ওইখানে বসে আরাম আয়েশে জীবনযাপন করে থাকেন।

প্রায়ই বলতে শোনা যায়, পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না কেন?

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এই সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। একেক সময় একেক জায়গায় চলে যায়। এজন্য নিয়মিত তদারকি দরকার।

পুলিশ বলছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এসব সন্ত্রাসীরা আবার ব্যবহার করে নিম্নআয়ের কিছু মানুষকে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন