বরিশালে নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে সনাতন ধর্মালম্বীরা নিজ নিজ বাড়িতে এ পূজার আয়োজন করে।

বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে অর্থাৎ সকাল ১০ টা থেকে নগরীর বিভিন্ন মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজা অর্চনা শুরু হয়।

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ২২ টি বিভাগ পৃথকভাবে ক্যাম্পাসের পদার্থবিজ্ঞান মাঠে এই পূজার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল সাজসজ্জায় মণ্ডপগুলো ফুটিয়ে তোলে। কোন বিভাগ খরকুটো দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করে আবার কোন বিভাগ বিভিন্ন গাছের পাতাসহ নানান উপকরণ দিয়ে সাজিয়ে তোলে মণ্ডপ।

সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ সরকারি ব্রজমোহন কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৃষ্টি সাহা জানান, তৃতীয় বারের মতো এবারেও বিএম কলেজে সরস্বতী পূজোর এতবড় আয়োজন করা হয়েছে। তবে ইসলাম শিক্ষা এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ বাদে ২২ টি বিভাগ পূজার এ উৎসবের আয়োজন করে। সবমিলিয়ে এ কলেজের অধীনে ২৫ টি পূজার আয়োজন করা হয়। যা বরিশালের সবথেকে বৃহৎ আয়োজন।

বরিশাল রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ স্বামী বিজিতাত্মানন্দজী মহারাজ জানান, সকাল থেকেই দেবী সরস্বতীর পূজা আরাধনা শুরু হয়। এখানে যজ্ঞানুষ্ঠান ও দেবীর পায়ে অঞ্জলী প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো ভক্তবৃন্দ অংশগ্রহন করে। পরে সকলের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

বরিশাল শ্রী শ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাওন দাস বলেন, দুপুর ১২ টায় এখানে পূজা শুরু হয় এরপর অঞ্জলী প্রদান ও প্রণামমন্ত্র মাঠ করেন ভক্তবৃন্দ। এরপর শিশু শিক্ষার্থীদের হাতেখড়ি দেয়া হয়।

মন্দিরে আসা পূর্ণার্থী অন্তরা মজুমদার বলেন, বিদ্যা ও বুদ্ধি লাভের আশায় মা সরস্বতীর আরাধনা করেছি। মায়ের পায়ে অঞ্জলী প্রদানসহ সামনের পরীক্ষায় যাতে ভালো ফলাফল করতে পারি সেই লক্ষ্যে মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি।

সারদ দাস বলেন, সামনে মাষ্টার্সের পরীক্ষা, যে ৭ টি বিষয় নিয়ে জটিলতা রয়েছে, সেই ৭ টি বই মায়ের পায়ে রেখে প্রার্থনা করেছি। এদিকে বরিশালে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, মন্দির এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ শহস্রাধিক পূজো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সরস্বতী পূজা উদ্যাপিত হয়েছে। এসময় পূজার আনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনসহ শিক্ষকবৃন্দ।