ই-পেপার

পরীমনিসহ ৩ জনের চার্জশিট গ্রহণ শুনানি আগামীকাল

বিএসএল নিউজ ডেস্ক: | আপডেট: November 14, 2021

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ শুনানি হবে সোমবার (১৫ নভেম্বর)। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে চার্জশিট গ্রহণ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সৌরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম ১৫ নভেম্বর চার্জশিট গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য করেন।

গত ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এর আগে, গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। এরপরের দিন তিনি জামিনে মুক্তি পান।

গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে। ওই দিন রাতে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে চারদিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দু‘দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করলে পরদিন (১ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন চিত্রনায়িকা।

এ ঘটনায় পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা হয় ১৬টি আলামত। এর মধ্যে রয়েছে- হ্যারিয়ার গাড়ি, দুটি ল্যাপটপ, তিনটি আইফোন, একটি আইপ্যাড, মেমরি কার্ড একটি, পেনড্রাইভ একটি, টেলিটক মডেম একটি, মাই স্টাইক একটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভিসাকার্ড একটি, ব্র্যাক ব্যাংকের গোল্ডকার্ড একটি, ব্র্যাক ব্যাংকের ভিসাকার্ড একটি ও দুটি পাসপোর্ট।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল দুটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত পরীমনিকে ফেরত দেওয়ার সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন। এ জন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার‘ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি‘ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন