ই-পেপার

চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নাকচ কারাগারে ফিরে গেলেন রুবেল

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: September 14, 2022

ঝালকাঠির ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক রুবেল আবারো কারাগারে। চাঁদাবাজী মামলায় জেল হাজতে থাকা কথিত সাংবাদিক রুবেল সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির একটি আদালতে হাজির হয়ে নিদেকে নির্দোষ দাবী করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের বিচারক রুবেলের জামিন নামঞ্জুর করেছেন। দুপুর দেরটায় আবারো রুবেলকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

বিভিন্ন সময়ে নিজেকে সাংবাদিক দাবীকরে একাধীক জায়গা থেকে চাঁদা তুলেছে বলে রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের স্বল্পসেনা গ্রামের সৈয়দ আলাউদ্দিন এর পুত্র এই রুবেল।

গত বছরের (২০২১) ৩০ নভেম্বর ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানীয় নিখিল চন্দ্র হালদার সৈয়দ রুবেলের নামে চাঁদাবাজির নালিশি মামলা দায়ের করেন। ঐ সি.আর মামলাটির নম্বর ১৬৩/২১।

মামলার বাদী, এলাকাবাসী এবং আদালতের নথি সুত্রে জানাগেছে, ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম শৌলজালিয়া গ্রামে নিখিল চন্দ্রের কাছে গিয়ে কুড়ি হাজার টাকা চায় রুবেল। নিখিল চন্দ্রর একটি মামলায় তাকে খালাস করে দিবে বলে টাকা দাবি করে। বাড়িতে তখন ২ হাজার টাকা ছিলো। যা পুরোটাই রুবেল নিয়ে গেছে। এর কিছুদিন পরে অপর একটি ঘটনায় সৈয়দ রুবেল, ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে নিখিল চন্দ্র হাওলাদারের কাছে আবারো কুড়ি হাজার টাকা দাবি করে।

প্রথমবার প্রশাসনের লোক দ্বিতীয়বার সাংবাদিক এই দুই পরিচয় এবং তখনকার আচরণবিধি সন্দেহ হলে রুবেলকে বিদায় দিয়ে কয়েকদির পরে ঘটনা উল্লেখ করে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেন নিখিল।

ঐ সময়ে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ নিখিল হালদারকে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রেন্ট এ কার চালক সৈয়দ রুবেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। তারপরেই মামলা করেন নিখিল।

ঐ মামলায় রুবেলের সাথে কৃষক দলের সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু নামের একজন ফটোকপির দোকানদারকেও আসামি করা হয়। মামলার আসামী রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুও নিজেকে সাংবাদিক ও শিক্ষক দাবী করেন।

এদিকে ঝালকাঠি’র সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিখিল চন্দ্রের দায়ের করা নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে ঐ বছরের ৫ ডিসেম্বর এক আদেশে কাঠালিয়া থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।

আসামী বাচ্চুর বিশেষ তদবিরের কারণে তাকে মামলার চার্জসীট থেকে বাদ দেয় কাঠালিয়া থানা পুলিশ। তবে চাঁদাবাজি অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ১নং আসামী ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক সৈয়দ রুবেলের নাম অন্তর্ভূক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে থানা পুলিশ।

রুবেল কারাগারে যাওয়ার পর মামলার বাদী নিখিলকে রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুস আরো চার পাঁচজন ব্যাক্তি মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিখিল চন্দ্র। হুমকির পর রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুসহ অজ্ঞাতনামা চার, পাঁচ, জনের নামে থাকায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে গনমাধ্যম কর্মীদের নিস্চিত করেছেন বাদি নিখিল চন্দ্র হালদার।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন