ই-পেপার

চরফ্যাসনে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: January 11, 2022

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ করা নিষিদ্ধ হলেও দক্ষিণ আইচা বাজার, চর কচ্ছিপিয়া বাজার,চরমানিকা বাজার,আটকপাট বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।

চরফ্যাসন উপজেলার ইলিশের সবচেয়ে বড় মৎস্য হাট হলো সামরাজ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন এ হাটে শতশত জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ভোর না হতেই শুরু হয় বেচাকেনা। দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে আড়তদারদের থেকে জাটকা ইলিশ কিনে উপজেলার বিছিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা ও বুড়োগৌরাঙ্গ নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া সামরাজ মৎস্য ঘাটে ট্রাক, টমটম,বোরকে করে প্রতিনিয়ত জাটকা ইলিশ নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এইসব জাটকা ইলিশ বিক্রি করছেন উপজেলার দক্ষিণ আইচা, চর কচ্ছিপিয়া বাজার, চেয়ারম্যান বাজার, দুলার হাট, বাবুরহাট সহ ছোট-বড় হাট-বাজারে। কিন্তু এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

প্রত্যক্ষদসী একজন জানান, মেঘনা ও বুড়োগৌরাঙ্গ নদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ৎ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। জাটকা ইলিশ বিক্রির উপর প্রশাসনের অভিযান চালতে দেখিনি। তবে দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই তাদের জাটকা শিকার করতে হয়। দক্ষিণ আইচা বাজারের এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, অন্যান্য মাছের সাথে ব্যাবসায়ীরা জাটকা বিক্রি করেছেন। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।

চরফ্যাসন মৎস্য কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন মিনার বলেন, উপজেলার কোথায় কোথায় জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। কে বা কারা জাটকা বিক্রি করছেন তাদের তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। জাটকা ইলিশ বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

গত ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়, বিক্রয়, মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন