ই-পেপার

কৃতকর্মের জন্য মাদ্রাসা সম্পাদকের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন নয়ন!

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 20, 2021

বরিশালের কাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিল্ববাড়ী এলাকায় মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ দলিল উদ্দিন ওরফে দুলাল ডাক্তারকে লাঞ্চিত করা সেই নয়ন এবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন।

নিজের ভুল স্বীকার করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সালিশ বৈঠকে তিনি দুলাল ডাক্তার এর পা ধরে ক্ষমা চয়ে রক্ষা পেয়েছেন। একই সাথে ভবিষৎতে তিনি এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন বলে মৌখিক মুচলেকা দিয়েছেন।

এর আগে স্থানীয় নয়ন হাওলাদার একটি ইউটিউব চ্যানেলে খবর প্রকাশ করে দুলাল ডাক্তারকে সামাজিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এঘটনায় দুলাল ডাক্তার বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

জানাগেছে, ২০০৬ সালে নওমুসলিম হুজুরের বাড়ি তার নিজস্ব জমির উপর মাদ্রাসা র্নিমান করেন। সেখানে কুরআন মাজিদ শিক্ষা দেওয়া ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম মহিলাদারে নিয়ে বিকেলে কোরআন শিক্ষা ও সাপ্তাহিক তালিম জলসা শুরু করে। উক্ত জলসায় বিভিন্ন অঞ্চলের মহিলারা এসে অংশগ্রহন করেন।

২০১৬ সালে নওমুসলিম মোঃ হোসাইন চার সন্তান রেখে মৃত্যু বরণ করেন। তখন নওমুসলিম হুজুরের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পান। তিনি মাদ্রাসাটি মহিলা হাফেজা মাদ্রাসায় রুপান্তরিত করেন।উক্ত মাদ্রাসায় মোঃ দলিল উদ্দিন দুলাল ডাক্তার প্রথম থেকেই সদস্য পদ ও পরবর্তীতে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

করোনার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ ছিলো। গত ৮ থেকে ৯ মাস পূর্বে মাদ্রাসার পরিচালক মাকসুদা বেগমের সাথে স্থানীয় নয়ন হাওলাদারের বিবাহ হয়। পরে মাদ্রাসা খোলার সরকারি সিদ্ধান্তে মাদ্রাসাটি খুলতে গেলে তার স্বামী নয়ন হাওলাদার বাঁধা দেয়। বিভিন্ন ঝামেলার কথা বলে মাদ্রাসার সাইনবোর্ডও খুলে নেন নয়ন।

‍এ বিষয় নিয়ে মাকসুদার সাথে নয়নের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ‍এর জের ধরে নয়ন হাওলাদার তার স্ত্রী মাকসুদা বেগমকে নির্যাতন ও মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ দলিল উদ্দিন দুলাল মাদ্রাসা বন্ধ না করার অনুরোধ করলে নয়ন তাকেও হুমকী দেয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি রেস্তরাঁয় তার ভগ্নিপতি ‍আইয়ুব আলী সিকদারের সাথে নাস্তা খেতে বসলে মাকসুদা বেগমের বর্তমান স্বামী নয়ন হাওলাদার ৮ থেকে ১০জন অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের নিয়ে দলিল উদ্দিন দুলাল ডাক্তাকের ওপর চড়াও হয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে টানাহেচড়া শুরু করে। পাশাপশি নয়ন এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

পরে নয়ন হাওলাদার দলিল উদ্দিন দুলাল ডাক্তারকে অপহরন করে মতাশার নিজ এলাকায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা নয়ন হাওলাদারের উপর ক্ষুব্ধ হলে সম্প্রতি এক সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সালিশে নয়ন হাওলাদার নিজের ভুল স্বীকার করে বৃদ্ধ দলিল উদ্দিন দুলাল ডাক্তারের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন