ই-পেপার

কলাপাড়ায় বেতকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সংকটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: | আপডেট: November 22, 2021

কলাপাড়ায় ধুলাস্বার ইউনিয়নে নিভৃত এক অজোপাড়াগাঁয়ের মনোরম পরিবেশে বেতকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ন ও ঝুকিপুর্ন শ্রেনিকক্ষে চলছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। গরমের সময় প্রচন্ড ঘামে ভিজে ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। বর্তমানে এ বিদ্যালয় ১১১ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যায়ন করছে। শিশু শ্রেনি থেকে প ম শ্রেনি পর্যন্ত ছয়টি ক্লাসের পাঠদান চালাতে গিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কক্ষের অভাবে হিমশিম খাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এলাকায় শিক্ষার মনোন্ন্য়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৯১সালে ৩৩শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্টিত করা হয়। এর পর ২০১৩সালে এটি জাতীয়করন করা হয়। বর্তমানে এতে ১১১ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক রয়েছে। এ অ লের মানুষের মাঝে প্রায় ২২ বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে এই আদর্শ বিদ্যাপিঠটি। কিন্তু অনেক বছর পার হলেও এখনো এই বিদ্যাপিঠে কোন প্রকার আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভবন সঙ্কট। শ্রেনিকক্ষ সঙ্কট, বেে র সঙ্কট, জরুরি কাগজপত্র রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত-পরিমাণ আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জড়িত। আশানুরূপ ছাত্রছাত্রী থাকলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও শ্রেণিকক্ষের সঙ্কট, অন্তহীন সমস্যায় পাঠদান ব্যবস্থা দিন দিন মুখ থুবড়ে পড়ছে। শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটের কারণে বাধ্য হয়ে কমলমতি শিক্ষার্থীদের জরাজীর্ন ছোট একটি টিনসেড ঘরে ক্লাস করানো হচ্ছে। বৌলতলীপাড়া, বেতকাটাপাড়া, মুসলিমপাড়া, বেতকাটাচর, পুর্ব ডালবুগজ্ঞ গ্রামের শিক্ষার্থীরাও পড়াশুনা করে এ বিদ্যালয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি রাখাইন নামানুসারে বেতকাটাপাড়া রয়েছে বিদ্যালয়ের নাম। দুটি পাড়ার মাঝ খানে রয়েছে এ বিদ্যালয়টি। বৌলতলীপাড়া ১৭টি ও বেতকাটাপাড়া ২৪টি রাখাইন পরিবারের ছেলে মেয়েরা ওই বিদ্যালয় পড়াশুনা করে। বাংলা বর্নমালায় আলো ছড়ালেও নিজ মাতৃভাষায় (রাখাইনরা) এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে তাদের নিজস্ব ভাষা।

বেতকাটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনির ছাএী মো: বেল্লাল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানায়, টিনশেড ঘরে আমাদের ক্লাশ করতে খুবই কষ্ট হয়। গরমে দিনে ক্লাসে বসা থাকা যায় না।

বেতকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আলাউদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, বিদ্যালয় ভবন নেই তা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বারবার জানানোর পরও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কোনো অগ্রগতি নেই।

কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বশার গনমাধ্যমকে জানায়, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ন অবস্থায় ১৭টি রয়েছে। ওই সব বিদ্যালয় সমস্যা চিহ্নিত করে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর জানানো হয়েছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন