ই-পেপার

ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় যুবলীগ নেতার স্ত্রীকে নির্যাতন

বিএসএল নিউজ ডেস্ক | আপডেট: May 5, 2022

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ইয়াবা সেবনে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল হতে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযুক্ত স্বামী মনিরুল ইসলাম মামুন পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। পাশাপাশি স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা নির্যাতনের অভিযোগ করেন এই যুবলীগ নেতা।

স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার জানান, বুধবার বিকালে পৌর এলাকার তাদের নিজ বাসায় কয়েকজন বখাটেকে নিয়ে ইয়াবা সেবন করছিলেন তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মামুন। এতে বাধা দেন তিনি। এজন্য স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পরে আমি ৯৯৯ নম্বরে কল করলে রাতে থানা থেকে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে আমার স্বামী সেখানে কিছু বখাটে নিয়ে এসে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে মনিরের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই মনিরের মাদক সেবনের ভয়ঙ্কর রূপ আমার চোখে ধরা পড়ে। সেবনের পাশাপাশি সে নিজেই ইয়াবার ব্যবসা করেন। সে বিভিন্ন লোক দিয়ে মাদক বিক্রি করান। বাসায় বসে প্রতি রাতে বখাটেদের সাথে ইয়াবা সেবন করতো। বাধা দিলেই শুরু হতো আমার ওপর নির্যাতন।

এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মনির বলেছে সে আর ইয়াবা সেবন করবে না। ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ১৫ দিন বা এক মাস পরে একই অবস্থা শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘স্ত্রী ফেরদৌসী আমাকে মারধর করতো। তার মুখের ব্যবহার খুবই খারাপ। আমরা পুরুষ জাতি এরকমের নারীর কারণে আজ নির্যাতিত।

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন