ই-পেপার

আমতলীতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: December 2, 2021

বরগুনার আমতলীতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। শীত উৎসবের আমেজ বোঝা যায় রাস্তাার মোড়ে মোড়ে বসা পিঠা বিক্রির দোকানে বাহারি পিঠার পসরা দেখেই। অলি গলিতে বসেছে পিঠা বিক্রির অস্থায়ী দোকান। চিতই (চডা) ও ভাঁপা পিঠার সাথে হরেক রকমের ভর্তার সমারোহ দোকানগুলোতে। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো প্রচন্ড শীতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, সময়ের বিবর্তনে আমতলী থেকে খেজুরের রস হারিয়ে যেতে বসলেও হারিয়ে যায়নি হরেক রকম শীতের পিঠা। শীতের শুরু থেকেই পিঠা তৈরির ধুম পড়ে গেছে প্রতিটি ঘরে ঘরে। ঘর ছাড়িয়ে বাজারের রাস্তার পাশে মোড়ে মোড়ে, গড়ে উঠেছে হরেক রকম পিঠা তৈরির অস্থায়ী দোকান। উপজেলাজুড়ে পিঠা তৈরির ২ শতাধিক দোকানে প্রতিদিন বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত চলে শীতের পিঠা বিক্রির হিড়িক। দোকানগুলোতে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি দেখেই বোঝা যায় শীতের পিঠার কদর।

দোকানি চুলা থেকে একেকটি পিঠা নামানোর সাথে সাথেই ছো মেরে হাতে তুলে নেয়ার নিশ্চুপ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় ক্রেতাদের মধ্যে। গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি ভাঁপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বাহারি সব পিঠা তৈরি হয় এসব দোকানে। চিতই পিঠার সাথে চিংড়ি, শুঁটকি, ধনেপাতা লাউ পাতাসহ নানান রকমের সুস্বাদু ভর্তা জিহ্বায় জল আনছে ভোক্তাদের। প্রতিটি পিঠা ৫-১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করেই লাভবান পিঠা বিক্রেতারা।

অধিকাংশ পিঠা বিক্রেতারাই সারাদিন অন্য কাজ শেষে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করে বাড়তি আয় করে সংসারের চাহিদা পূরণ করছে। প্রতিদিনই বাড়ছে বিক্রেতার সংখ্যা। বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এই পিঠা বিক্রি। পিঠা সহজেই হাতের কাছে পাওয়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা আর বিক্রেতারা খুশি ভালো দাম পাওয়ায়।

ক্রেতা মো. হায়াতুজ্জামান মিরাজ বলেন, বাড়িতে সব সময় পিঠা তৈরি করা সম্ভব হয় না। দোকানগুলোতে খুব সুন্দর ও সুস্বাদু পিঠা তৈরি করে। তাই প্রায়ই দোকান থেকে পিঠা খাই। আরেক ক্রেতা এস এম নাসির মাহমুদ বলেন নতুন ডাক বাংলা রোডে জোসনা ভাবীর পিঠা খুব সুস্বাধু পিঠা তৈরি করে আমি প্রতিদিন তার দোকানে পিঠা খেতে আসি।

পিঠা বিক্রেতা জোসনা রানী (৩৯) বলেন, আমি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাড়ীর গৃহস্থলি কাজ করি। বিকেল থেকে রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করি। পিঠা বিক্রি করে দৈনিক ৫শ থেকে ৬শ টাকা লাভ হয়। এই বাড়তি আয়ে আমার সংসার অনেক ভালো চলে।

আমতলী সরকারি কলেজের (অব:) সহকারী প্রভাষক মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন বিভিন্ন বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে শীতের পিঠা বিক্রি হচ্ছে এতে বাঙালির ঐতিহ্য প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি পিঠাগুলোকে ধুলা ও ময়লা মুক্ত রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন