ই-পেপার

সেতুতে উঠতেও বাঁশ, নামতেও বাঁশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: January 16, 2022

বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গফুর মৃধার বাড়ি সংলগ্ন কালকিনি খালের উপর সংযোগ সেতু দিয়ে দক্ষিণ কোলচর ও বায়লাখালী গ্রামের প্রায় ২ হাজার  মানুষের সেতু বন্ধন তৈরি হয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় কয়েক হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির দুই প্রান্তে চলাচলের রাস্তা না থাকায় সেতুতে উঠতে ও নামতে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই এলাকার মানুষের পারাপারের সুবিধার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকারের সহায়তা প্রকল্প (এলজিএসপি-৩) এর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।  কিন্তু সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার লোকজন বাঁশের সাঁকো বসিয়ে চলাচল করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ কাঞ্চন মোল্লা, শাহ আলম মোল্লা ও আলমগীর খানসহ বেশ কয়েকজন জানান, সেতু দিয়ে শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, এলাকার প্রায় ২ হাজার লোক আসা-যাওয়া করেন।

এ ছাড়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে চার কিলোমিটার ঘুরে আমিরগঞ্জ বাজারসহ বরিশাল সদরে যাতায়াত করছেন। সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই সেতুটির দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।

এলাকাবাসী জানান, সেতুটি নির্মাণের খবরে খুশি হয়েছিলেন এলাকার মানুষ। তারা ভেবেছিলেন সেতুর সঙ্গে সড়কও নির্মাণ হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।

জানা গেছে, ২০১৯- ২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকারের সহায়তা প্রকল্প (এলজিএসপি-৩) অর্থায়নে এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বাস্তবায়নে চাঁদপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম কোলচর ও বায়লাখালী গ্রামের মোঃ গফুর মৃধার বাড়ির সামনে কালকিনি খালের ওপর ১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুটের আয়রন সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রায় ১ বছর পার হলেও পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান সবুজ সংযোগ সড়কের মাটির কাজ রহস্যজনক কারণে শেষ না করায় এলাকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মামুন মোল্লা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান সবুজ তার তত্তাবধানে সেতুটি নির্মাণ করেছেন। তবে কি কারণে সেতুর দুই প্রান্তে মাটি ভরাট করা হয়নি তা তিনি জানেন না। চেয়ারম্যান তার ইচ্ছামত কাজটি করেছেন।

চাঁদপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান সবুজ জানান, এলজিএসপির অর্থায়নে ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষের চলাচলের জন্য সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কে এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি ভরাট করে জনগণের চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন