বিএসএল নিউজ ডেস্ক | আপডেট: January 16, 2022
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা আর বৃদ্ধির জন্য এ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সেটাই আমরা চাই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারা নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা, ব্যক্তিপ্রধান নির্বাচন কমিশনারের দুর্বলতা, আইনে কোনো দুর্বলতা নেই বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
এ সময় বাংলাদেশকে কোনো শাস্তি বা চাপে ফেলতে নয় বরং মানবাধিকার নিয়ে যাতে দেশ আরও উন্নতি করে সে জন্য যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের সাত কর্মকর্তার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নাসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর টানা ১৮ দিন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটের প্রচারণা চালিয়েছেন। এ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন।
নাসিক নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোটে লড়ছেন ১৪৮ জন। মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯২টি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এ জন্য নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনীসামগ্রী পৌঁছানো শুরু হয়।
ইসি থেকে জানানো হয়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।
নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ও আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।