ই-পেপার

সাক্ষির অভাবে বরিশাল সিটি মেয়রসহ ২৮ আসামির অব্যাহতি চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: January 3, 2022

সাক্ষির অভাবে বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক ইউএনও ও দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

তবে দাখিলকৃত প্রতিবেদন এখনো আদালত গ্রহন করেননি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার ধার্য তারিখ থাকায় সেদিন আদালত শুনানী শেষে প্রতিবেদন গ্রহন করা বা না করার ওপর আদেশ দিবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, যথেষ্ট সাক্ষি না থাকায় মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

প্রতিবেদন আদালত গ্রহন না করলে পুনরায় তদন্ত হবে। দুই পাতার ওই প্রতিবেদনে বরিশাল সিটি মেয়রসহ ২৮ অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়। বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ডিসেম্বর মাসে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে জানান তদন্ত কারী কর্মকর্তা।

তিনি জানান, মামলার তদন্তের ভার ছিল কোতয়ালি মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) আনোয়ার হোসেনের ওপর। তার বদলি হয়ে গেলে ১৯ নভেম্বর থেকে তিনি তদন্ত শুরু করেন। দায়িত্ব গ্রহণের ১৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম- এমপি পক্ষের ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের কথা-কাটাকাটি হয়।

এ নিয়ে আওয়ামী লী‌গের নেতা-কর্মীরাও ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জ‌ড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে উপ‌স্থিত আনসার‌ সদস্যদের সঙ্গে হাতাহা‌তি শুরু হলে আওয়ামী লী‌গ, যুবলীগ ও ছাত্রলী‌গের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালায়।

এ সময় আনসার সদস্যরা গু‌লি ছুড়লে স্বপনসহ চারজন আহত হন। এ নিয়ে পু‌লিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মী‌দের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় ইউএনও মুনিবুর রহমান বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ ২৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

ওদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তৎকালীন ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এই দুই কর্মকর্তা পরবর্তীতে বদলী হয়ে যান।

এই ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হয়। যদিও সরকারে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও মেয়রের মধ্যের বিরোধ সমঝোতা হয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন