বিএসএল নিউজ ডেস্ক: | আপডেট: December 8, 2021
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তবে এ সময়ে এসে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির নানা মন্তব্য আর শালীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য দলটি কি বিব্রত?
দলের নেতারা বলছেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ কিংবা নৈতিক স্খলন ঘটলে ছাড় দেওয়া হয় না কাউকেই। যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যায় প্রমাণসাপেক্ষে নেওয়া হয় ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে দল এবং সরকার বরাবরই কঠোর অবস্থানে।
রাজনৈতিক দলগুলোতে অনুপ্রবেশ, আদর্শ কিংবা বিশ্বাস নয়, শুধু ক্ষমতার লোভে ঢুকে পড়া বর্ণচোরার মতো। একসময় এদের কেউ কেউ পেয়েও যান গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবিও। এসবেরই উদাহরণ গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর থেকে রাজশাহীর কাটাখালীর পৌরসভার মেয়র আব্বাস। সবশেষ সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তাদের একের পর এক বিতর্কিত ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগ।
জাহাঙ্গীরের জামায়াত সখ্য, বিএনপির রাজনীতি থেকে আব্বাসের আওয়ামী লীগে খুঁটি গাড়া, ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে মুরাদের আওয়ামী লীগে উত্থান, মন্ত্রিসভায় ঠাঁই নেওয়া উঠে এসেছে।
দলটির নেতারা বলছেন- দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কিংবা অসাংবিধানিক কোনো কাজ করলে যতবড় নেতাই হোক- ছাড় পাবে না কেউই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, তাকে (মুরাদ) দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কার্যনির্বাহী কমিটি। দলবিরোধী শৃঙ্খলাবিরোধী রাজনীতি যদি কেউ করে, অথবা তার আচার আচরণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় অথবা দলের ভাবমূর্তি বিতর্কিত হয় সেক্ষেত্রে তো যে করবে এ ধরনের কাজ, তার ক্ষেত্রে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আসতেই পারে।
দলটির আরেক নেতা বলছেন- দায়িত্বশীল পদে থেকে যারা মানুষকে হেয় করেন, কুরুচিপূর্ণ কাজ ও মন্তব্য করেন তাদের ব্যাপারে নমনীয় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। বলেন, এই দলের পদ-পদবি থেকে অনৈতিক কাজ করে বা কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে কেউ পার পাবে না। সে যে স্তরে বা যে মাপের নেতা হোক না কেন দলের সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ঘটনার পরে সবার ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্য দল থেকে আমাদের দলে আসা অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ ঘটেছে কিনা।
বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে যারা ঢুকেছেন তালিকা ধরে ধরে তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।