ই-পেপার

রহমতপুরে আ’লীগের সেই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 27, 2021

পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার ঘটনায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃধা মুহাম্মদ আক্তার-উজ-জামান মিলনকে শোকজ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এমনকি দায়সারাভাবে শো-কজের জবাবও দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার-উজ-জামান মিলন। লিখিত জবাবে তিনি ‘পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কু-রুচিপূর্ণ কোন বক্তব্য দেননি এবং তার বক্তব্য কাটছাট করে বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে দাবি করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা তার এ ধরনের দায়সারা জবাব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃধা মুহাম্মদ আক্তার-উজ-জামান মিলনকে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য শতর্ক করেছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের মীরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্বাচনী উঠান বৈঠকে বাবুগঞ্জ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর এবং কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আক্তার উজ-জামান-মিলন।

যা বাবুগঞ্জ দর্পণ নামের একটি ফেসবুক পেইজে লাইভের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। ভিডিওতে আওয়ামী লীগের ওই প্রার্থীকে প্রকাশ্যেই বলতে শোনা যায়, ‘ওসি মাহাবুব আমার ভোট কাটছে। হের ফান্নে মুজিব কোট খুইল্লা ওসিরে দিছি চাইর-পাঁচাটা কেনু’। এ ধরনের আরও বিতর্কিত মন্তব্য করে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থীনা করেন মিলন। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ্য থেকে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃধা মুহাম্মদ আক্তার-উজ-জামান মিলন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে একজন প্রার্থীর এ ধরনের বক্তব্য আচরণবিধি লঙ্ঘন।’

নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘থানা পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে ওই প্রার্থীকে লিখিতভাবে শো-কজ করা হয়। এমনকি তাকে বিকাল ৫টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী শনিবার দুপুরের মধ্যেই আক্তার-উজ-জামান মিলন লিখিতভাবে জবাব দিয়েছেন। তিনি তার জবাবে দাবি করেছেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে কোন কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য তিনি দেননি। তার বক্তব্য কাটছাট এবং কন্ঠ পরিবর্তন এবং বিকৃত করে প্রকাশ করেছে।’

নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই প্রার্থীর লিখিত জবাব গ্রহণ করা হয়েছেন। পাশাপাশি তাকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ এবং শতর্ক করা হয়েছে বলে নির্বাচন কর্মকতা জানিয়েছেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন