নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: January 13, 2022
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউপি নির্বাচনে প্রচারণায় আ‘লীগ প্রার্থীর কর্মী যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বিপ্লব (৪০) এর হাতের কব্জি কাঁটা ঘটনার আসমী গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গাজিপুর জেলার টঙ্গী থানা (পশ্চিম) এলকার বস্তি থেকে এজাহারভুক্ত পলাতক আসমী ফয়সাল বেপারী (২২) কে টঙ্গি থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় হাজির করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল উপজেলার তেতুল বাড়িয়া গ্রামের দুলাল বেপারীর ছেলে। পুলিশ এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন আসামী গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধানীসাফা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি বিপ্লব গত ২২ ডিসেম্বর ২১ রাত পৌনে ১০ টার দিকে ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আ‘লীগ প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের নৌকা মার্কার স্টীকার নিয়ে আলগী বাজারে দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওণা হন।
স্থানীয় আলগী বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে পৌছানো মাত্রই পূর্ব পরিকল্পণা অনুযায়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (রফিক প্রফেসর) এর সমর্থকরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে ফেলে রাখে যায়। এতে তার বাম হাতের কব্জি এবং ডান হাতের একটি আঙ্গুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে একাধিক জখম হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে গুরুতর আহত বিপ্লবকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর রাতে আহত বিপ্লব এর ভাই মিল্টন মিয়া বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় ৩২ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল বেপারীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই সোহেল ফয়সালকে চোঁখ বেঁধে নির্যাতত করেছে। এমনকি বৃহস্পতিবার সকালে ফয়সালের সাথে তাদেরকে দেখা করতেও দেয়া হয়নি। তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই সোহেল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল বেপারী বৃহস্পতিবার দুপুরের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামী গ্রেপ্তার পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে।