নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 28, 2021
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিরোধপূর্ণ বিরাংগল দারুসুন্নাৎ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠনে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের দুজন মহাপরিচালক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ২১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
একই মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবং উপজেলার বিরাংগল গ্রামের মো. আফতাস হাওলাদারের ছেলে মো. মিজান এবং একই গ্রামের মৃত মেহের উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪৬৯/২০২১।
মামলার অন্যান্য বিবাদিরা হলেন- বিরাংগল দারুসুন্নাৎ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, মাদ্রাসা সুপার ও কমিটির সম্পাদক, ছালেহা বেগম, মো. নাইম হোসেন, মো. আব্দুল আজিজ খান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. শাহ আলম হাওলাদার, মো. আবুল কালাম খান, মোসা. রিনা বেগম, মো. ফারুক হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন, সাহানা পারভীন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার, বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিষ্ট্রার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দুই মহা-পরিচালকেও বিবাদি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। পুরাতন কমিটির সভাপতি, বিদ্যুৎসাহী সদস্য এবং বাদীপক্ষসহ আগ্রহী প্রার্থীরা নির্বাচনের বিষয়ে কিছুই অবগত নন। ১ ও ২ নম্বর বিবাদী তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে খসড়া ও চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছে।
এছাড়া ১৩ নম্বর বিবাদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের যোগসাজসে গোপনে তফসিল ঘোষণা করে একতরফাভাবে গত ২২ নভেম্বর ৩-১৩ নম্বর বিবাদীকে প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, অভিভাবক, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত দেখানো হয়েছে। ম্যানিজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ২ (ছ)(অ) বিধিতে বিদ্যমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণের ১৮০ দিন পূর্বে এককালীন ২০ হাজার টাকা জমা প্রদানের বিধান রয়েছে। কিন্তু ৩ নম্বর বিবাদী গত ১০ অক্টোবর রেজিষ্ট্রিকৃত ৫০০৩ নম্বর নিরুপনপত্র দাখিল মূলে চার শতাংশ ভূমি হস্তান্তর করে দাতা সদস্য হয়েছেন। যা সংশ্লিষ্ট ধারার পরিপন্থী।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে- ১৩ নম্বর বিবাদী অর্থাৎ নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গত ১২ নভেম্বর ৪৪১ নম্বর স্মারকে প্রতিষ্ঠাতা, দাতা ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক পদে একটি করে এবং অভিভাবক পদে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি সম্পর্কে এলাকার কেউ অবগত নন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কারণে মাদ্রাসার ক্ষতি হতে পারে উল্লেখ করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বিবাদীদ্বয়।