নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: December 29, 2021
ঢাকা-বরগুনা নৌ-রুটের এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার পর বরগুনার বেতাগী এখন শোকপুরি। বেতাগী উপজেলার একজন নিহত। আর নিখোঁজ আটজনের এখনো সন্ধান মেলেনি। তবে নিখোঁজ যাত্রীরা জীবিত আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে নিখোঁজের স্বজনদের আহাজারিতে শোকপুরিতে পরিণত হয়েছে গ্রাম।
নিহত একজন হলেন উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন (২৮)। নিখোঁজরা হলেন- কাউনিয়া এলাকার সিকদারবাড়ির রিনা বেগম (৩৮), লিমা (১৪), মোকামিয়া এলাকার আব্দুল হাকিম (৫৮), তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৩), আরিফুর রহমান (৩৫), কুলসুম (৪), সেলিম (৪৮) ও সোবাহান খলিফা (৪০)।
এ ছাড় আহত যাত্রীরা হলেন- মাওলানা আবদুল হাই নেছারী, হালিমা বেগম, সফিউল্লাহ, কুশল কর্মকার, জাহানারা বেগম, ফরহাদ খলিফা, মুকুল খলিফা, রুবেল, শাহিন, মতিয়ার রহমান, শাবনূর, শাহেব আলী, সালাম, ফেরদৌস ও বুলবুল।
মোকামিয়া ইউনিয়নের নিখোঁজ আরিফ ও তার মেয়ে কুলসুমের সন্ধান মেলেনি আজও। আরিফের মা আলেয়া বেগম একই সঙ্গে ছেলে ও নাতনির শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
আলেয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ব্যাবাক্কে তো লাশও পায়, মুই তো লাশ পাই নাই। লাশ দুইডা পাইলে বাজান আর নাতনির কবর দুইডা দ্যাখলে পরানডা ঠাণ্ডা অইতো। নিখোঁজের স্বজনরা এখনো বিষখালী নদীতে লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।