নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: December 18, 2021
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরহোগলা গ্রামে ইশায়াতুল ইসলাম মডেল মাদ্রাসার চতুর্থ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মানাধীন ওই ভবনের রড এবং সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ নির্মানাধীন ভবনে নৈশ প্রহরির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় মামুন গাজী ওই নির্মাণ সামগ্রী চুরির সাথে জড়িত।
স্থানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, ‘নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে থাকা মামুন গাজী কয়েক দিন পূর্বে রাতের আধারে নির্মাণাধীন ভবনের রড চুরি করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে সুচতুর মামুন রডগুলো নিজের ঘরে না রেখে প্রতিবেশী নান্নু গাজীর পরিত্যাক্ত ঘরে লুকিয়ে রাখেন।
বিষয়টি জানতে পেরে সংবাদকর্মীরা ওই পরিত্যাক্ত ভবনে গিয়ে বেশ কয়েখটি রড দেখতে পান। পরে মামুন রড চুরির ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে অবশ্য চাপের মুখে রড নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
জানতে চাইলে মামুন বলেন, “চুরি করিনি, এমনিতেই আমার বাসার সামান্য কাজের জন্য অল্প কয়েকটি রড এনেছি”।
নির্মানাধীন ভবনের রাজমিস্ত্রী মান্নান বলেন, ‘আমাকে মামুন গাজী ডেকে নিয়ে বলেন এই রডগুলো আমাকে একটু বাসায় পৌঁছে দেও। আমি মাদ্রাসা ভবনের রড দেখে প্রথমে না নিতে চাইলেও পরে মামুন আমাকে রডগুলো পৌঁছে দিতে বাধ্য করে।
পরে আরেকদিন আমি রড নিয়ে তার বাড়ির ভিতরে গেলে ওই বাড়িরই কিছু লোকজন দেখে ফেলে। এটা নিয়ে ওই লোকেদের সাথে মামুন গাজীর বাকবিতন্ডাও হয়। পরে আমি রডগুলো ওখানে রেখে চলে আসি। পরবর্তীতে তিনি রডগুলো কোথায় রেখেছেন সেটা আমার জানা নেই।
প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা কহিনুর এন্টারপ্রাইজের পক্ষ্য থেকে নিয়োজিত হক গাজী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রড চুরির কোন ঘটনা আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।’
এদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এরি মধ্যে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অভিযুক্ত মামুন গাজী। নিজের শারীরিক সমস্যার দোহাই দিয়ে এসব অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছেন তিনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ‘সাংবাদিকদের চলে যাওয়ার পর পরই চুরি হওয়া রডগুলো মামুন গাজী অনদের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের বাড়িতে যেসব রড বিক্রি করেছেন সেগুলোও লুকিয়ে রাখতে বলেছেন মামুন।