ই-পেপার

বাউফলে সহপাঠিদের ছুরিকাঘাতে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

শফিকুল ‍ইসলাম, বাউফল | আপডেট: March 22, 2023

তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বাউফলে জুনিয়র সহপাঠিদের ছুরিকাঘাতে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বুধবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল গ্রামের মো. মিরাজ মোস্তফার ছেলে নাফিজ (১৪) ও মো. বাবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মারুফ হাওলাদার (১৫)। এরা দুজনেই ইন্দুরকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

এ ঘটনায় সিয়াম (১৫) নামের আরও এক শিক্ষার্থী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ব্রীজের ওপর এই ঘটনা ঘটে।

তবে এই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ওজি জানিয়েছেন, ‘দুদিন আগে পায়ে পা লাগাকে কেন্দ্র করে ইন্দ্রকুল স্কুলের ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এসময় একজন ১০ম শ্রেণির ছাত্ররা ৯ম শ্রেণির ছাত্রদের চর থাপ্পর মারে। এতে ক্ষুব্ধ হন ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

এর প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১১টায় স্কুলে ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন ১০ম শ্রেণির ছাত্র মারুফ, সিয়াম এবং নাফিস।

পথিমধ্যে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা ৯ম শ্রেণির ছাত্র রায়হান, নাইম, হাসিবুলসহ তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগী স্কুলের উত্তর পাশে ব্রীজের ওপর তাদের তিনজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা এবং ছুরিকাঘাত করে। এতে ১০ম শ্রেণির তিন ছাত্রই পেটে এবং বুকে রক্তাক্ত জখম হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে মারুফ ও নাফিসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে, তাদের দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতদেহ বর্তমানে হাসপাতালের লাশ সংরক্ষণ কক্ষে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন