নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: January 4, 2022
বরিশাল নগরীতে পুলিশের কাছ থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাছাড়া এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কোতয়ালী মডেল থানার এসআই জয়ন্ত দাস বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় ২৫ জনকে নামধারী এবং বাকিদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ছিনতাই হওয়া আসামি নগরীর ভাটারখাল এলাকার শহিদ কাজী এবং আসামি ছিনতাইকারী স্বপন ব্যাপারী, পারভেজ ব্যাপারী, পারুল বেগম, তারেক শাহ, অলি আহমেদ এবং রাজিব খান। মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিমুল করিম।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর ভাটারখাল এলাকাধিন স্পীডবোট ঘাটে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আসামি শহিদ কাজী ওই একই এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন মাহেন্দ্রা চালক। তার বিরুদ্ধে ভাটারখালের চিহ্নিত মাদক কারবারি হালিম শাহ’র সহযোগী হিসেবে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ‘ভাটারখাল ডিসি ঘাট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় পিকনিক করছিলেন স্থানীয় কিছু যুবক ও স্পীডবোট মালিক সমিতি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ওই অনুষ্ঠান থেকে একটি মারামারি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শহিদ কাজীকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় স্থানীয় যুবক তারেক, সাদ্দামসহ তাদের ৫০-৫৫ জনের একটি দল পুলিশকে ঘেরাও করে হাতকড়াসহ আসামি শহিদকে ছিনিয়ে নেয়। হামলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের উপরেও।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের লাঠিচার্জ করে। এরপর পুরো এলাকা ঘেরাও করে হাতকড়াসহ ছিনতাই হওয়া শহিদ কাজীসহ ঘটনার সাথে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, যে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিলো তাকে হাতকড়াসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হয়েছে। তাছাড়া রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।