ই-পেপার

বরিশালে ফেসবুকে দুই কারারক্ষির ইয়াবা ব্যবসা, একজন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 25, 2021

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অর্ডার সরবরাহ করে মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার চালান পৌঁছে দিত তারা। কিন্তু বিধি বাম হলো মঙ্গলবার দুপুরে। সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রথম গেটের ঠিক বিপরীতে মল্লিক প্লাজার সামনে ধরা পড়লো চক্রটি।

গোয়েন্দা পুলিশ সাধারণ ইয়াবা ব্যবসায়ী ভেবে আটক করলেও পরক্ষণেই জানতে পারেন তারা বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষি। তিনজনের মধ্যে একজন পালিয়ে গেলেও এক কারারক্ষি ও তার সহযোগীকে ৫৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাফসান জানী। তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষি (ব্যাচ নং-৪১৯৬৭) সালাউদ্দিন রাজা, কারারক্ষি (ব্যাচ নং-৪২৬৭৪) ইয়াছিন খান এবং তাদের সহযোগী নাঈমুল ইসলাম জিতু মিলে বরিশাল শহরে দীর্ঘদিন ধরেই ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল।

তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিএম কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেলে করে ইয়াবা নিয়ে যান তারা। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালালে কারারক্ষি সালাউদ্দিন রাজা কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে আটক হন অপর করারক্ষি ইয়াছিন খান এবং সহযোগী নাইমুল ইসলাম জিতু।

গোয়েন্দা উপ-পরিদর্শক রাফসান জানী জানান, আটককৃতদের দেহ তল্লাশীকালে নাইমুল ইসলাম জিতুর পরিহিত জিন্সের প্যান্টের বাম পাশের পকেট থেকে তিন প্যাকেটে ৫৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পৌনে তিন লাখ টাকা।

এদের মধ্যে প্রধান আসামী নাইমুল ইসলাম জিতু বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন মৃধার ছেলে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষি ইয়াছিন খান বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের উত্তর কাকচিড়া গ্রামের শাহ আলম খানের ছেলে এবং পলাতক কারারক্ষি সালাউদ্দিন রাজা পটুয়াখালী জেলার বদরপুর ইউনিয়নের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে দুইজন কারারক্ষির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছেÑবিষয়টি আমরা জেনেছি। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা ওই কাররক্ষিকে আসামী হিসেবে কারাগারে পেয়েছি। অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই বিধি মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই কর্মকর্তা বলেন, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কারারক্ষি দু’জন ওইদিনও কেন্দ্রিয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেছিল।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন