নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: January 15, 2022
গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বরিশাল বিভাগ তথা দখিনের ছয়টি জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার এক লাফে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ছিলো ২ দশমিক ৭০ শতাংশ। তাছাড়া চলতি মাসে শনাক্তের গড় হার ছিল দুই থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত। তাছাড়া বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২১ জন। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বিভাগের চার জেলায় নতুন করে ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ১৬ জন, পটুয়াখালীতে এক, ভোলায় ২ এবং ঝালকাঠি জেলায় দুজন করে শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫ হাজার ৪৪৬ জন। ভাইরাসটিতে নতুন করে কারোর মৃত্যু না হওয়ায় এর সংখ্যা ৬৭৯ জনে রয়েছে। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৬১৮ জন হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ১৮ হাজার ৩৮৭ জন, টুয়াখালীতে ৬ হাজার ২৪৪ জন, ভোলায় ৬ হাজার ৮৭৩, পিরোজপুরে ৫ হাজার ৩১০, বরগুনায় ৩ হাজার ৯৬৬ এবং ঝালকাঠি জেলায় মোট ৪ হাজার ৬৬৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
অপরদিকে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনার তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৪ জন রোগী ভর্তি ছিলো। তবে চলতি বছরে ভাইরাসটিতে কারোর মৃত্যু শনাক্ত হয়নি। সম্প্রতি করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হলেও তার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, ‘মাত্র একদিনের ব্যাবধানে করোনা শনাক্তের হার এক লাফে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশে পৌঁছানো মানে খারাপ কিছুর আভাস। তাই করোনা বা অমিক্রন ভয়াবহ রূপ নেয়ার আগেই আমাদের সকলকেই উচিত সচেতন হওয়া।
বিশেষ করে মাস্ক পরাকে অভ্যেসে পরিণত করতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হওয়া এবং যারা এখনো কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেননি তাদেরকে দ্রুত টিকা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।