নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 30, 2021
ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭ নং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়ন। ২০০৩ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আবু ইউসুফ। এর পর থেকেই ক্ষমতার লোভ গ্রাস করে তাকে।
নিজেকে চেয়ারম্যান পদে বহাল রাখতে আদালতে একের পর এক নাম সর্বস্ব ব্যক্তিদের বাদী করে মামলা দিয়েছেন আবু ইউসুফ। পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নকে তিনি গড়ে তুলেন নিজের রাজত্ব হিসেবে। জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়মে।
এর মধ্যে তিনি ২০১৯ সালে ২২ সেপ্টেম্বরে কাউকে না জানিয়ে ভারতের কলকাতা যান। দেশে ফেরেন ওই বছরের ৬ অক্টোবর (ইমিগ্রেশন বিশেষ পুলিশের শাখার তথ্যানুযায়ী)।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বাৎসরিক ও মাসিক সভা করার কথা থাকলেও তা নিয়মিত করেনি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি ¯‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফকে বহিষ্কার করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন চেয়ারম্যান ইউসুফ।
রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রুল জারির পাশাপাশি বহিষ্কারাদেশ তিন মাসের জন্য স্থগীত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে চেয়ারম্যানের করা ওই রিটটি গত গত ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেন আদালত।
বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এতে করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করা আগের আদেশটিই বহাল থাকে।
যাতে করে প্রায় ১৯ বছর পরে আবু ইউসুফের চেয়ারম্যান পদসহ নিজের গড়া সম্রাজ্যের পতন হয়। ফলে, পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে ইউনিয়নটির ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আলমগির মাতাব্বরের।
হাইকোর্টের রায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়নি। আমি এখনও চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছি।
এদিকে, প্রায় ১৯ বছর নির্বাচন না হওয়ায় ইউনিয়নটির জনসাধারণ বঞ্চিত হয়েছেন নূন্যতম নাগরিক সেবা থেকে। পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নবাসীর দাবি অতি শিগগিরই ইউনিয়নটিতে নির্বাচন দেয়ার। এতে করে নতুন অভিভাবকসহ সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবে লালমোহনের পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নবাসী।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা জানান, চেয়ারম্যান আবু ইউসুফকে বহিষ্কারের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি।