নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 13, 2021
এক সময় গ্রামাঞ্চলে গবাদী বা গৃহপালিত পশু পালনকারীদের চিন্তার প্রধান কারণ ছিল হিংস্র প্রাণী শেয়াল, ভাম, বনবিড়াল আর বেজি। কেননা পালিত হাস-মুরগিসহ অন্যান্য প্রাণী পেলেই শিকার করে নিত এসব প্রাণী। গ্রামাঞ্চলের ঝোপঝাড় আর ফাঁজা জমিতে দেখা মিলত এসব ক্ষুদ্র জীবজন্তু।
তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে শুরু করেছে পরিবেশের জন্য উপকারী এসব ক্ষুদ্র জীবজন্তু। নগরায়নের পাশাপাশি বন, ঝোপঝাড় উজারের কারণে খাদ্য সংকটে প্রাণীগুলো বাস্তহারা হয়ে পড়েছে।
মাঝে মধ্যে যাওয়া দু-একটি প্রজাতির সামান্য সংখ্যক প্রাণীর দেখা মিলছে তাও মানুষের খাদ্যবস্তুতে নয়তো তাদের শিকল নিদেনপক্ষে নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে আধিপত্য দেখানো হচ্ছে অবলা জীবেদের ওপর। কেউ বা আবার প্রকাশ্যেই পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে প্রাণীগুলোকে।
জানা গেছে, ‘ওইসব হিংস্র প্রাণীদের আবাসনস্থল হলো ঝোপ-ঝাড়, নদীর তীর বা খেতখামারে। সন্ধ্যা হলেই শেয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দিত। শেয়ারের ভয় আর গল্প শুনিয়ে শিশুদের ঘুমপড়াতো মায়েরা। কিন্তু শেয়ালের সেই হুক্কা হুয়া ডাক এখন আর শোনা যায় না। নেউল বা বেজির সংখ্যাও কমেগেছে উদ্বেগজনক হারে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘নগরায়নের কারণে এসব প্রাণী তাদের বাসস্থান হারাচ্ছে। বিশেষ করে শহর পর্যায়ে এখন আর ক্ষুদ্র এসব জন্তু নেই বললেই চলে। গ্রাম পর্যায়ে কিছু দেখা গেলেও তাও কম। ঝোপ-ঝাড় কেটে সাবার করে বাড়ি-ঘর নির্মাণের কারণে জন্তুগুলো তার আবাসন খুঁজে পাচ্ছে না।
বরগুনার আমতলী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সাইদ বলেন, ‘এসব প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার আছে। প্রাণীগুলোর অধিকারের ওপর মানুষের হানাদারি বন্ধ করতে হবে। জৈব বৈচিত্র্য হারিয়ে গেলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে পরিবেশের। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এসব প্রাণীদের বাচিয়ে রাখতে হবে।