এ এম মিজানুর রহমান বুলেট , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: | আপডেট: December 22, 2021
দখিন উপকূলে বইছে হলকা হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াকাশায় সকাল থেকেই ঢাকা পড়ছে গ্রামীন জনপদ। দক্ষিনের হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তীব্র এ শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল, শ্রমজীবী ও নি¤œবিত্ত সাধারন মানুষজন। বুধবার সকাল ৯ টায় কলাপাড়ায় সর্বনিম্ন ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দখিনের চরা লের মানুষজন। তবে একটু উষ্ণতার জন্য অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালিয়েছেন। বেড়েছে গরম কাপড়ের কদর। হঠাৎ করে জেকে বসা শীতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, হাপানী, ডায়রিয়া, শিশুদের নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ ও রোগীর সংখ্যা।
তীব্র শীতে বেকায়দায় পড়েছে সাধারন মানুষ। নেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। তীব্র শীতের কারনে বেড়ে গেছে শীতবস্ত্রের দাম। দু:স্থ, গরীব ও অসহায় মানুষজন। শীতের তীব্রতায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের মধ্যে বেশীরভাগই রয়েছে শিশু ও বয়ষ্করা। যেখানে সাধারনত মাঘমাসেও অনেকসময় শীতের তীব্রতা অনুভব করা যায়না, সেখানে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো দক্ষিানা লের মানুষ। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারেনা, গরম কম্বলের নীচে শুয়েই দিন-রাত পার করছে এ সময়টা। অতি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা মানুষজন।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা, এ ধারাবাহিকতায় চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরো ২/৩দিন থাকবে, সামনে আরো শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেসময় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে শীতল বাতাসের কারনে এ অ লে শীতের তীব্রতা অনেকটা বেশী থাকতে পারে।এসময় ঘন কুয়াশা ও আকাশ মেঘলা থাকার কারনে রোদের দেখা মিলবে দিনের অনেক দেরীতে।