নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: September 4, 2022
পায়রা সেতু উদ্বোধনের পর খুলনা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা যেতে একমাত্র ভোগান্তির কারণ ছিলো কচা নদী। ফেরিতে করে যানবাহন নিয়ে স্রোতস্বিনি এই নদী পারাপার হতে হতো, আবার ট্রলার তো ছিলোই মানুষ পারাপারের জন্য।
তবে দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা শেষ করে এই কচা নদীর উপর ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু অর্থাৎ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই সেতু উদ্বোধনের পর স্থানীয়দের অনেককেই দৌড়ে উঠতে দেখা গেছে সেতুতে।
কাউখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ সালাম বলেন, এককথায় আমরা আজ ভোগান্তির চিতায় আগুন জ্বলতে দেখেছি, আর সেই চিতা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পিরোজপুরের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে।
পিরোজপুর সদরের বাসিন্দা জয়দেব সাহা বলেন, আমরা বরিশাল বিভাগের মধ্যে থাকলেও বিভাগীয় শহর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। যে কারণে আমাদের তুচ্ছ কাজের জন্যও খুলনা যেতে হতো। কিন্তু এখন ব্রীজ হয়ে যাওয়ায় আমরা বরিশাল নগরীমুখী হবো।
খুলনা থেকে সেতু দেখতে আসা আয়শা আক্তার মিনু বলেন, খুলনা থেকে বরিশালে যেতে আগে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা বা তারও বেশি সময় লাগতো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে দুই ঘন্টায় বরিশাল থেকে খুলনায় আসা যাওয়া করা যাবে। ফেরির কারণে যে অপেক্ষা ছিলো সেটার সমাপ্তি হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। পাশাপাশি খুলনা থেকে কুয়াকাটা যেতেও সময় কমে যাবে কমপক্ষে এক ঘন্টা।
ব্যবসায়ী আবুল ফজল বলেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জন্য আশীর্বাদ এই সেতু। এর কারণে এই দুই বিভাগেই ব্যবসার প্রসার ঘটবে। খুলনা ও বরিশালে যাতায়াতের জন্য আর কোনো বিরম্বনা নেই।
প্রায় এক কিলোমিটার মূল সেতুর উভয় প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০০ মিটার। ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিলারের ১৩.৪০ মিটার প্রস্থের এই সেতুর পিরোজপুর ও বরিশাল প্রান্তে এক হাজার ৪৬৭ মিটার সংযোগ সড়কসহ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে আরও দুটি ছোট সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা।