ই-পেপার

দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম পাকহানাদার মুক্ত হয় রাজাপুর

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 23, 2021

আজ ২৩ নভেম্বর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে রাজাপুর সর্বপ্রথম পাকহানাদার মুক্ত হয়। ওই দিন রাজাপুরের আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৪ নভেম্বর ১৯৭১ এর পর সারাদেশের ন্যায় রাজাপুরে মুক্তিযুদ্ধ আরো তীব্র হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাকবাহিনী নিরীহ জনগণকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন খালের ঘাটে সাড়িবদ্ধ করে বেঁধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় পাকহানাদার বাহিনী।

১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাপুর থানা আক্রমণ করেন। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধে তৎকালীন থানা কমান্ডার কেরামত আলী আজদের নেতৃত্বে প্রায় তিনশত মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহণ করেন। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ।

যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় ৯ নম্বর সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজান ওমর যোগ দেন। এ যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোচেন আলী নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন ক্যাপ্টেন শাহজান ওমরসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা।

উপজেলার কানুদাসকাঠিতে সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজান ওমর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমরকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।

রাজাপুর প্রেসক্লাব প্রতি বছর এ দিবসটি উদযাপন করে আসছে। এ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে বধ্যভূমিকে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন