ই-পেপার

কুয়াকাটা সিডরে নিহতদের স্মরনে মোমবাতি প্রজ্বলন ও দোয়া-মোনাজাত

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: | আপডেট: November 15, 2021

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর আয়োজনে পালিত হয়েছে সিডর দিবস। সোমবার সন্ধ্যার পর ২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে সিডরে নিহতদের স্বরণে সৈকতে মোমবাতি প্রজলনসহ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিশেন (কুটুম), ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি পৃথক পৃথকভাবে দিবসটি পালন করেছে। এসময় দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন মো: সোহেল মাহমুদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক বদরুল কবির, ইনস্পেক্টর মো: হাসনাইন পারভেজ, টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু, দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি ফরাজী মো: ইমরান, আরটিভির সাংবাদিক জসিম পারভেজ, সাব ইনস্পেক্টর মো: মিন্টু মিয়া সরদার, টোয়াকের ডিরেক্টর আবুল হোসেন রাজু, তৈয়বুর রহমান, আসাদুজ্জামান মিরাজ, সদস্য মাসুম আল বেলাল, নুর হোসেন আকাশ, পর্যটকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ ইং সালের ১৫ই নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডবন্ড হয়ে যায় পটুয়াখালী সহ সমগ্র উপকুল। সিডরে উপকুলের মানুষের জানমালের ব্যপক ক্ষতি হয়। সিডরের আঘাতে ৩ হাজারেরও বেশী মানুষ নিহত হয়। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সডিরের ভয়াবহতা মানুষ আজও ভুলতে পারে না। তাই এই দিনটির স্বরণে উপকুলের মানুষ প্রতিবছর দিবসটি পালন করে আসছে।

টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন আনু গনমাধ্যমকে বলেন, প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় সিডরের কথা শুনলে আজও কেঁপে ওঠে। সিডরের ভয়াবহতায় উপকুলের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনসহ উপকুলের সবুজ বেস্টনী এবং পশু পাখি। সিডরের পর থেকে যেকোন ঝড় বন্যার কথা শুনলেই এখনো আতকে ওঠে। উপকুলের মানুষের দাবী টেকসই বেরীবাধঁ নির্মাণ।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন