কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক | আপডেট: December 14, 2021
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যখন-তখন যে-যার ইচ্ছেমতো সরকারি সম্পত্তি কোন তোয়াক্কা না করে আবার কখনো কখনো কতিপয় সরকারী অসৎ-দুর্বৃত্তায়িত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগ-সাজশে অবৈধভাবে দখল
করে নিচ্ছে।
এবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ কেটে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রভাবশালী এক ইট ভাটা মালিকের ইটভাটায়। যা দিয়ে ইট তৈরীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী পায়রাবন্দর সংলগ্ন পাউবো’র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ৫০০-৬০০ ফিট স্লোভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘূর্নিঝড় জাওয়াদ’র প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার বৃষ্টির মধ্যে এভাবে বেড়িবাঁধের স্লোভ কেটে মাটি সরিয়ে ফেলায় বাঁধ ধ্বসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রাম এলাকায় আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, পোল্ডার নম্বর৪৩/১বি’র কান্ট্রি সাইডে গড়ে তোলা হয়েছে সোহাগ ব্রিক্স নামের একটি ইটভাটা। বাঁধের রিভার সাইডে স্থাপন করা হয় নিজস্ব স্বমিল।
সম্প্রতি বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি, বিএনপি নেতা নুরুল হক মুন্সী তার মালিকানাধীন এ ইট ভাটার রিভার সাইড থেকে স্বমিল স্থানান্তর করে বেড়িবাঁধ
ঘেষে স্থাপন করেন শ্রমিকদের বিশ্রাম শেড।
এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধকেটে বেড়িবাঁধের মাটি ভাটায় ইট তৈরীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যাতে মূল বাঁধের ৫০০ থেকে ৬০০ ফিট স্লোভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এভাবে বেড়ি বাঁধের স্লোভ কেটে মাটি সরিয়ে ফেলায় বর্ষায় মাটি নরম হয়ে বাঁধ ধ্বসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে সোহাগ ব্রিক্সের সত্ত্বাধিকারী নুরুল হক মুন্সী এ প্রতিবেদককে বলেন, বেড়ি বাঁধের মাটি কাটা হয়নি। বাঁধের প্রস্থ, উচ্চতা, স্লোভ সব ঠিক আছে। তিনি দাবি করেন বাঁধ ঘেষে ব্রিক্সের স্বমিল ও ৫০ হাজার মাটি রাখা ছিল, যেটা এখন সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পাউবোর কলাপাড়া অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক গনমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি গনমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে শুনলাম। তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট ছবি হোয়াট্স অ্যাপে পাঠান। সেটা দেখে এবং সরেজমিনে গিয়ে তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে বাঁধের স্লোভ কাটার সত্যতা পাওয়া গেলে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এর ধারা ১৫ বিধান অনুয়ায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।