ই-পেপার

কলাপাড়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

এ.এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া | আপডেট: December 5, 2021

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে দায়ীত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের একাংশ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এর ফলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ওই শিক্ষককে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, অর্থ বাণিজ্যের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অর্থ আদায়কারীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, ২০০০ সালে কলাপাড়া মহিলা কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জাতীয় শিক্ষাবোর্ডের অধিনে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শরু হয়। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে কলেজটি ডিগ্রি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।

সম্প্রতি সময়ে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রবেশপত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো. ফারুকের বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৬৮ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্রের নামে ১২’শ টাকা করে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্তারা।

আর বিদায় অনুষ্ঠানের নামে অতিরিক্ত ২’শ টাকা করে নিয়ম বহির্ভূত চাঁদা আদায় করা হয়েছে। কোন ধরনের রশিদ ছাড়াই এ টাকায় আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ফলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব পরতে শুরু করেছে।

জানতে চাইলে কলাপাড়া মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো. ফারুক বলেন, ‘আপনাদের কাছে যুটা অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি আসলে ততটা না। তবে ডি.ডি স্যার একটা নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. বাহাউদ্দিন বলেন, ‘আমি অসুস্থকালীন সময়ে অধ্যক্ষ সাহেব ফোন করে জানিয়েছেন যে এডমিটের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিবেন। তবে অতিরিক্ত ১২’শ টাকা আদায় করা হবে তা আমার জানা ছিল না।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার সাথে সাথে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছে ফেরত দিতে ওই অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এধরনের অর্থ আদায় অবৈধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন