ই-পেপার

আশ্রয়ণের অর্ধ শতাধিক পরিবারের নির্ঘুম রাত

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 23, 2021

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বঙ্গব সাগরের তীরে নিদ্রার চর এলাকার গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছে ৫০ টি পরিবার।

সংস্কারের অভাবে ঘরগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে ঝড়-বৃষ্টিতে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৯ সালে আশ্রয় প্রকল্পের এই ঘরগুলো নদীর পাড় ঘেঁষে দুস্থ ও ভূমিহীনদের জন্য প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে। যেখানে ভূমিহীন ও অসহায় ৫০টি পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পায়। কিন্তু বর্তমানে এ ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

প্রকল্পের বাসিন্দা মো. দুলাল বলেন, ঘরের মেঝের মাটি সরে গিয়ে গর্ত হয়ে গেছে। টিনের চালা মরিচা ধরে গেছে। বেড়ায় বড় বড় ফুটো হয়ে গেছে। লোহার অন্য সরঞ্জামেও মরিচা ধরেছে। একটু বৃষ্টি হলেই চুইয়ে পানি পড়ে। ঘরের বেড়া ও দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। ভাঙাচোরা ঘরের চালায় পলিথিন দিয়ে ফুটো বন্ধ করে কোনো রকম বসবাস করে আসছি। ঝড়-বৃষ্টি জলোচ্ছ্বাসে ভাঙা ঘরের কোনে বসে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোসলখানা, টয়লেট ও টিউবওয়েলগুলো ভেঙে গেছে। নেই চিকিৎসা ও বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা। অন্যত্র সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা ও অস্বাস্থ্যকর এ ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস করছে এসব পরিবার। অভাব এদের নিত্যসঙ্গী।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মালেক জানান নদীর তীরবর্তী হওয়ার কারণে এখানকার পরিবারগুলোর অধিকাংশই নদীতে মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। গত ২০১৯ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘরগুলো নির্মাণ হয়। নির্মাণের ২ বছর না যেতেই এসব ঘরে থাকার অনুপযোগী হয়ে গেছে।

সোনাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজি বলেন, আশ্রয়ের ঘরগুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে করা হয়েছে, এখানে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালতলীর ইউএনও কাওসার হোসেন এর সরকারি নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি। পরে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন