ই-পেপার

আমতলীতে প্রাথমিকের ৪৬টি দৃষ্টিনন্দন ভবন করেছে এলজিইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: November 22, 2021

বরগুনার আমতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুর শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, শিশুর মানসিক বিকাশ, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, উচ্চ শিক্ষা এবং শিশু বান্ধব শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিতসহ শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে এনএনজিপিএস ও জিপিএস নামের দুই প্রকল্পের মাধ্যমে বরগুনার আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৬টি দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, চাহিদা ভিত্তিক জাতীয়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন ((ঘঘএচঝ) প্রকল্পের আওতায় ৩০টি এবং চাহিদা ভিত্তিক নতুন জাতীয়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন (ঘইওউএচঝ) প্রকল্পের আওতায় ২০টি দৃষ্টিনন্দন ভবন ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয়েছে। এই ভবনগুলোর মধ্যে ২৩টি ভবন ইতোমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী ভবনগুলোর কাজ শেষ হওয়ার পথে, তাও কিছু দিনের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

উপজেলার এ ৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা, চিলড্রেন্স প্রে­কর্ণার, দেয়াল সাজসজ্জাকরণসহ নানা উপকরণ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উন্নত পরিবেশে শিক্ষাদানের বিষয় বিবেচনায় রেখে বিদ্যালয়ের ভবন আধুনিক ডিজাইনে দৃষ্টিনন্দন করে নির্মাণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবন নির্মাণের ফলে শিশুরা বিদ্যালয়মুখী হবে। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হারও বৃদ্ধি পাবে।

বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু বলেন, শিক্ষায় সারা দেশে বিপ্লব ঘটেছে। দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের গণমুখী কার্যক্রমের ফলে বিভিন্নখাতে অভূতপূর্ব সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘটে গেছে বিপ্লব, যা আজ সর্বত্র দৃশ্যমান। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন।

এমপি বলেন, ‘প্রতিবছর ১ জানুয়ারিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি স্কুল-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই পৌঁছে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্টা করা হয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ ও সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। প্রাাথমিক, মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের জেন্ডার সমতা অর্জিত হয়েছে। নারী শিক্ষায় অভূতপূর্ব এ অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশ আজ পৃথিবীতে মডেল রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত। এর সকল সফলতা বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলার সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন