নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: December 19, 2021
বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িয়াল ইউনিয়নে।
আদালত কতৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এক সপ্তাহ পরও কোন এক রহস্যময় কারনে আসামী গ্রেফতারে অনীহা বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে মামলার বাদীর পরিবার অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিলাম ডিক্রি, দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে সংখ্যালঘু সম্পত্তি আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাকেরগঞ্জের দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ ৯ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার (১২ডিসেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মাহফুজ আলম এ নির্দেশ দেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন নরেন্দ্র পাল। আদালত মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করতে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন।
চলতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সেলিম ঘটনার প্রাথমিক সত্যতার বিষয়টি নিশ্চত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।
গত ১২ডিসেম্বর রোজ রোববার মামলার ধার্য তারিখে সমন প্রাপ্ত হয়েও আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক ওই নির্দেশ দেন। তবে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশ মানছেনা বলেও ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ভূমিদস্যুতায় পটু হলেও তার বিরুদ্ধে কেহই মামলা করতে সাহস করে না। নরেন্দ্র নাথ পাল কতৃক দায়েরকৃত মামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার না করায় এলাকার সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।