নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: August 22, 2022
বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। গত রোববার সন্ধ্যায় রেঞ্জ ডিআইজি’র কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন পরিদর্শক, তিনজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক, চারজন সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও চারজন নায়েক-কনস্টেবলের নাম রয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সূত্র দাবি করেছে।
তদন্ত কমিটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির নির্ভরযোগ্য সূত্রটি আরও জানায়, ‘অভিযুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিনে চাকরি বিধিমালা বহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। যার মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘বরগুনার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদনে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় ইট পড়ে পুলিশের একটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। এর জের ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বেধড়কভাবে পেটায় পুলিশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী।
স্থানীয় এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনে এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোটা দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। এমনকি ঘটনার রাতেই একটি অনুষ্ঠানে এএসপি মহরমসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান এমপি।
এ ঘটনার পরেই অতিরিক্ত এসপি মরহমকে বরগুনার দায়িত্ব ছাড়িয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়। একইদিন তাকে বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে দেন রেঞ্জ ডিআইজি।